কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি :
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ২ ঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকালে ৯টার মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রাম লেনে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আধা ঘণ্টা চেষ্টার পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। সাড়ে ১১টার দিকে উভয় পক্ষ মহাসড়ক ত্যাগ করে। বেলা ১২টার দিকে যান চলাচল শুরু করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও তার বিরেধী পক্ষ চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে বেশ কিছুদিন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলায় মিজানুরের পক্ষ একটি শোডাউনের আয়োজন করে। পরে একই দিন সকালে শোডাউন ঠেকাতে মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেন মুজিবুল হকের অনুসারীরা। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, অবস্থানকারীরা মহাসড়ক ছেড়ে গেলে যান চলাচল শুরু করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন ধীরগতিতে চলছে। এটা স্বাভাবিক হতে বেশি সময় লাগবে না। যে সময়টাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে, ওই সময়টাতে মহাসড়কে যানবাহন কম থাকে। তাই কম সময়ের মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে বিএনপি-জামায়তের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল করতে মহাসড়কে মুখোমুখি অবস্থান নেয় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ। এতে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকেরা মহাসড়কে নেমে ভাঙচুর চালালে এমপি মুজিবুল হকের সমর্থকেরা প্রতিহত করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জেলা পুলিশ।