নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পর আটক সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আটক সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্তির নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে।
বৈঠকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে সরকারপ্রধান বলেন, তাদের জন্য গণভবনের দরজা সবসময় খোলা।
শেখ হাসিনা বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। সব বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। আমি আর সংঘাত চাই না।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিতে আয়োজিত গণমিছিলে পুলিশ, ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার অভিযোগ এসেছে। এতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা হতাহত হয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদে আজ শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে সকালের দিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির পর ছাত্র আন্দোলনে নতুন মাত্রা পায়।
সেদিন ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকায় হঠাৎ করেই বিপুল সংখ্যক মানুষ রাজপথে নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কারফিউয়ের মধ্যেও টানা চারদিন ধরে চলতে থাকে সংঘাত।
কয়েকদিনের সংঘাতে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন কয়েক হাজার।