শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন

অবৈধভাবে মাটি কাটার কারণে হুমকির মুখে ধরখার-উজানিসার সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩
অবৈধভাবে মাটি কাটার কারণে হুমকির মুখে ধরখার-উজানিসার সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের উজানিসার এলাকায় অবাধে চলছে মাটি কাটার ধুম। গত দু’সপ্তাহ ধরে নাজুয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে এই মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রোপাইটার সুমন খানসহ ওই চক্রটি আইন না মেনেই নদীর তীরবর্তী মাটিসহ পাশে থাকা ধরখার-উজানিসার সেতুর পিলারের গা ঘেঁষে মাটি কেটে নিচ্ছে। এতে যে কোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সে সঙ্গে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল তোরে আশেপাশের এলাকায় ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রভাবশালী একটি চক্রটি সিন্ডিকেট করে খাল খননের নামে প্রতারণার মাধ্যমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাটি কেটে নিয়ে যায়। বেশ কয়েকটি ভেকু মেশিন দিয়ে অন্তত ৩০ ফুটেরও বেশি গভীর করে মাটি কেটে তা বিক্রি করছে পার্শ্ববর্তী জেলার কোম্পানিগঞ্জের একটি ব্রিকস ফিল্ডে। তারা নদীর পাড় ও সরকারি জায়গার পাশিপাশি আশপাশ এলাকার ব্যক্তি মালিকানা জায়গার মাটিও নির্বিচারে কেটে বড় বড় গভীর গর্তের সৃষ্টি করেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে নদীর পাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দিতে পারে।

হাবিব মিয়া নামে এক বাসিন্দা বলেন, একটি চক্র সিন্ডিকেট করে এক প্রভাবশালীর নেতার ছত্রছাত্রায় মাটি কাটছে। আমরা কয়েকবার বাঁধাও দিয়েছি। পরে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করলেও পুনরায় আবার মাটি কাটছে। এ ছাড়া কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি যা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এর নীচের অংশে মাটি কাটার ফলে সেতুটি এখন হুমকির মুখে রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সেতুর পিলার ঘেঁষে মাটি কাটার ফলে সেতুটি এখন হুমকির মুখে পড়বে। মাটি সরিয়ে নেওয়া হলে যে কোনো সময় ব্রিজটি বসে যেতে পারে। সেতুটি রক্ষায় দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, তিতাস খনন প্রকল্প চললেও যে জায়গায় মাটি কাটা হচ্ছে সেখানে এখনো তিতাস খনন কাজ শুরু হয়নি। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এদিকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে নাজুয়া এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার সুমন খান বলেন, আমি অন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে সাব কন্টাক্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্কওডার পেয়ে এই কাজ করছি। তবে কারো ব্যক্তির জায়গার মাটি আমি কাটিনি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া

%d bloggers like this:
%d bloggers like this: