বিনোদন ডেস্ক :
ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন দক্ষিণী অভিনেতা ধানুশ ও কিংবদন্তি তারকা রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়া। সংসার জীবন ভালোই চলছিল তাদের। তবে সে সুখ বেশিদিন টিকল না। হঠাৎ বিচ্ছেদের সুর বেজে উঠল ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার জীবনে। বার বার সংসার টিকিয়ে রাখতে চাইলেও ব্যর্থ হয়েছেন দুজনেই। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবেই দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন তারা।
বিচ্ছেদের আগেই আলাদা থাকছিলেন তারা। আর বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিভোর্সের সার্টিফিকেট পান ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়া। এতে তাদের অনেক ভক্তই কষ্ট পেয়েছেন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) আদালতে উপস্থিত ছিলেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। পারিবারিক আদালতের বিচারক শোভা দেবী শেষবারের মতো তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানতে চান। কিন্তু ধানুশ-ঐশ্বরিয়া আলাদা হয়ে যাওয়ার ইচ্ছাই প্রকাশ করেন। এরপর রায় দেন আদালত।
টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালে ধানুশ এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রথম জানান, ১৮ বছর ধরে আমাদের একসঙ্গে পথচলা। এ সময় বন্ধু হিসেবে, মা-বাবা হিসেবে, এ ছাড়া আমরা সব সময় একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে পাশে থেকেছি। আমাদের এই সময়ের বোঝাপড়ার ভ্রমণটা দারুণ ছিল। আজ থেকে আমরা এমন এক পথে যাচ্ছি, যেটা আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিচ্ছেদে যাচ্ছি। আমরা বোঝাপড়ার জন্যও সময় নিয়েছি। দয়া করে আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন।
এরপর ঐশ্বরিয়াও একই রকম বার্তা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। তিনি সে সময় লেখেন, কোনো ক্যাপশনের প্রয়োজন নেই। একমাত্র আপনাদের বোঝাপড়া ও ভালোবাসার প্রয়োজন অনুভব করছি।
তাদের নেয়া আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সপ্তাহে চেন্নাইয়ের পারাপারিক আদালতে হাজিরাও দেন দুজন। আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করার পরও শোনা গিয়েছিল, নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে দুই পরিবার। ঐশ্বরিয়া অভিনেতা রজনীকান্তর মেয়ে। আর এই বিচ্ছেদ নিয়ে একেবারেই খুশি নন রজনীকান্ত। মেয়ে-জামাইকে মুখোমুখি বসিয়ে বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন তিনি। তিনবার ডিভোর্স মামলার শুনানি এড়িয়েছিলেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। তাই অনেকেই ভেবেছিলেন সে হয়তো শেষ পর্যন্ত বিয়েটা টিকে যাবে। কিন্তু কিছুদিন আগেই আদালতে হাজির হয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন তারা। এরপর তারা ডিভোর্স ফয়সালা হাতে পেলেন দুজন।
প্রসঙ্গত, ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর বিয়ে করেন। তাদের ইয়াত্রা ও লিঙ্গা নামের দুই ছেলে রয়েছে।দুই বছর পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর নিজেদের কাজ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। পরিচালক হিসেবে ‘লাল সালাম’ সিনেমা দিয়ে কাজে ফিরেছেন ঐশ্বরিয়া। ধানুশকে দেখা গিয়েছিল প্রাইম ভিডিওর ‘ক্যাপ্টেন মিলার’ সিনেমায়।