মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সবকিছু আয়োজন করেছি। ভোটারদের কোনো ভয় নেই। আমরা প্রত্যেক ভোটার এবং নাগরিককে মোবাইলে মেসেজ দিচ্ছি ভোট সুষ্ঠু হবে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বেশি পরিমাণে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে নামাচ্ছি। অঘটন ঘটিয়ে কেউ কোথাও যেতে পারবে না। এয়ারপোর্টেও বলা আছে অঘটন ঘটিয়ে কেউ যেন দেশ ছাড়তে না পারে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনের ২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচনকে শতভাগ সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে এবার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন প্রার্থীদের অনিয়মের কোন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ভোটকেন্দ্র স্থগিত করে ভোট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া অনিয়মের যে কোন অভিযোগ তাৎক্ষণিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবে স্থানীয় প্রশাসন। এক্ষেত্রে কেউ ব্যর্থ হলে ভোট বন্ধসহ যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কমিশনের পক্ষ থেকে।
তিনি বলেন, এবার অঘটন ঘটিয়ে কেউ পালাতে পারবে না। ইতিমধ্যে এয়ারপোর্টসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানের পাশাপাশি সীমান্তের বর্ডার এলাকাগুলোতেও বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে। ফলে এবার ভোটারদের কোন ধরনের ভয়ের কোন কারণ নেই। দেশজুড়ে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রের ভেতরের কক্ষগুলোতে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার ব্যতীত এজেন্ট কিংবা ভোটাররা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে কেউ স্মার্টফোন নিয়ে গেলে ভোট দেয়ার আগে সেটি সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে জমা রেখে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অতীতের নির্বাচনী পরিবেশের কোন পুনরাবৃত্তি হচ্ছে না এবার। ভোট কতটা নিরপেক্ষ হতে পারে সে বিষয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে কমিশন। ৭ জানুয়ারিকে ভোট উৎসবে পরিণত করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অতীতের মত ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারকে প্রবেশে বাধা দেয়ার কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।
সাংবাদিক পর্যবেক্ষকের বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, এবার শুধু বৈধ সাংবাদিকরাই পর্যবেক্ষণের কার্ড পাবেন। দোকান থেকে একটা ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে আমি সাংবাদিক হলাম এমন কাউকে কার্ড দেওয়া হবে না। কেন্দ্রে গিয়ে ছবি নেওয়া, বক্তব্য নেওয়া, লাইভ প্রচার করা যাবে। তবে কক্ষে লাইভ প্রচার করা যাবে না।
এ সময় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুজাফর রিপনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার আসলাম খাঁন, জেলা নির্বাচন অফিসার বশির আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।